শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৪ অপরাহ্ন
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র, ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক শিল্প মন্ত্রী আমির হোসেন আমুকে রাজধানীর ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল করা হয়েছে। বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে ঝালকাঠি আইনজীবী সমিতির সামনে জেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রথমে আনন্দ মিছিল বের করেন। পরে তাঁরা পথচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করেন। এরপর আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. শাহাদাত হোসেন, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মুবিন, জেলা যুবদলের আহবায়ক রবিউল হোসেন তুহিন, শ্রমিক দলের আহ্বায়ক টিপু সুলতান।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আমির হোসেন আমু ছিলেন ঝালকাঠির মানুষের কাছে মুর্তিমান আতঙ্কের নাম। তার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীবাহিনী দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অনেক অত্যাচার, মামলা-হামলা করিয়েছেন। এমন কোন অপকর্ম নেই যা তিনি করেননি। দুর্নীতি, টেন্ডার, জমি দখল, কাজের পারসেন্টিজ ও নিয়োগ বাণিজ্য করে হাজার হাজার কোটি টাকা ও প্রচুর সম্পদের মালিক হয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তার করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন বিএনপি নেতাসহ সাধারণ মানুষ। বিএনপি নেতৃবৃন্দ আমির হোসেন আমুর অপকর্মের কঠোর বিচার দাবি করেন।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন বলেন, বাংলাদেশের সন্ত্রাসীদের গডফাদার গ্রেপ্তারে ঝালকাঠিবাসী সন্তুষ্ট। ছাত্র হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ফাঁসির দাবি জানাই। ঝালকাঠিতে আমু সন্ত্রাসী রাজত্ব্য কায়েম করেছিলেন। তার দোসরা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা আমুর দোসরদেরও গ্রেপ্তারের দাবি করছি।
এদিকে আমু গ্রেপ্তারের খবর শুনে খুশি নির্যাতিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও। আলম অপু নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা তার ফেইসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দেন। তাতে তিনি লিখেছেন, আমার একসময়কার রাজনৈতিক নেতা আজ গ্রেপ্তার। ভালো লাগছে। আমাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জেল খাটিয়েছে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে শারীরিক মানসিক নির্যাতন করেছে। আজ তার জেল জীবন কেমন হবে আল্লাহ তায়ালা তার বিচার যেন করেন।
নলছিটি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ফিরোজও ফেইসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দেন। তিনি লেখেন, আমার নেতা গ্রেপ্তার! কি আনন্দ যে লাগছে তা বোঝাতে পারবো না।